০১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা খরচে পেঁয়াজ চাষ, কৃষকের মুখে হাসি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • ৩৩ Time View

এক টাকাও খরচ না করে যশোরের ঝিকরগাছায় অনেকেই পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এসব চাষিরা পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। ফলে আগামীতে বাড়বে চাষির সংখ্যা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উপজেলার ৬০০ কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে গ্রীষ্মকালীন এক কেজি পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, জমি প্রস্তুত, সেচ, শ্রমিক ও বাঁশ ক্রয় বাবদ দুই হাজার ৮০০ করে টাকা দেওয়া হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার ওসমান গনি এ পেঁয়াজ চাষ করেন। ২৪ শতক জমিতে তিনি পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে অন্তত ৪০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

ওসমান গনি বলেন, গত নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে কৃষি অফিসের দেওয়া পেঁয়াজ চারার জন্য বীজতলায় ফেলি। এরপর চারার বয়স ২৫-২৬ দিন হলে তা রোপণ করি। তার আগেই ক্ষেতে পটল লাগানো ছিল। তার সাথী ফসল হিসেবে এ পেঁয়াজ লাগাই। এ চাষে সরকারের দেওয়া সার দিয়েছি। তাছাড়া আর কোনো খরচ হয়নি। তাই পেঁয়াজ বিক্রির টাকা পুরোটাই লাভ। আবার পটল গাছও বড়ো হয়ে উঠেছে। পেঁয়াজ আকারে বড় হয়েছে। ৮-৯টি পেঁয়াজে এক কেজি হচ্ছে। ২০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম পাইকারি দুই হাজার টাকা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, মূলত প্রণোদনার এ পেঁয়াজ গ্রীষ্মকালীন হলেও তা শীত মৌসুমেও ভালো ফলন হয়েছে। ওসমান গনির মতো এই ব্লকের বারবাকপুর গ্রামের রুবিয়া বেগম ও বোধখানার মিকাইল হোসেনও পটলের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে ৪০-৪৫ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। খরচ না থাকায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে এ আবাদে।

এই প্রতিবেদনটি ডেইলি-বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয়েছে

Tag :
এখন আলোচনায়

চুয়াডাঙ্গায় আবারও অতি তীব্র তাপদাহ শুরু তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিনা খরচে পেঁয়াজ চাষ, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

এক টাকাও খরচ না করে যশোরের ঝিকরগাছায় অনেকেই পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এসব চাষিরা পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। ফলে আগামীতে বাড়বে চাষির সংখ্যা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উপজেলার ৬০০ কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে গ্রীষ্মকালীন এক কেজি পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, জমি প্রস্তুত, সেচ, শ্রমিক ও বাঁশ ক্রয় বাবদ দুই হাজার ৮০০ করে টাকা দেওয়া হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার ওসমান গনি এ পেঁয়াজ চাষ করেন। ২৪ শতক জমিতে তিনি পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে অন্তত ৪০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

ওসমান গনি বলেন, গত নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে কৃষি অফিসের দেওয়া পেঁয়াজ চারার জন্য বীজতলায় ফেলি। এরপর চারার বয়স ২৫-২৬ দিন হলে তা রোপণ করি। তার আগেই ক্ষেতে পটল লাগানো ছিল। তার সাথী ফসল হিসেবে এ পেঁয়াজ লাগাই। এ চাষে সরকারের দেওয়া সার দিয়েছি। তাছাড়া আর কোনো খরচ হয়নি। তাই পেঁয়াজ বিক্রির টাকা পুরোটাই লাভ। আবার পটল গাছও বড়ো হয়ে উঠেছে। পেঁয়াজ আকারে বড় হয়েছে। ৮-৯টি পেঁয়াজে এক কেজি হচ্ছে। ২০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম পাইকারি দুই হাজার টাকা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, মূলত প্রণোদনার এ পেঁয়াজ গ্রীষ্মকালীন হলেও তা শীত মৌসুমেও ভালো ফলন হয়েছে। ওসমান গনির মতো এই ব্লকের বারবাকপুর গ্রামের রুবিয়া বেগম ও বোধখানার মিকাইল হোসেনও পটলের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে ৪০-৪৫ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। খরচ না থাকায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে এ আবাদে।

এই প্রতিবেদনটি ডেইলি-বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয়েছে