১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগফিরাতের ১০ দিন শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ৩৭ Time View

ফাইল ফটো

রমজানের পুরো সময়কে আল্লাহ তায়ালা তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ১০ দিন নাজিল হয় রহমত, মাঝের ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাত। আজ থেকে শুরু হলো রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত বা ক্ষমার দশক।

হাদিসে হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষদিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৮৮৭)

গুনাহ বা পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এমন কাজে লিপ্ত হয়। অনেকেই শয়তানের কুপ্ররোচনায় গুনাহ করে ফেলেন এবং গুনাহ থেকে মাগফিরাত লাভের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। তাদের জন্য মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ আজ থেকে। আল্লাহ তায়ালা রমজানের দ্বিতীয় দশকে বান্দাকে বেশি বেশি ক্ষমা করেন।

আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। রমজানে মুসলিম বান্দারা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব। (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ৬৪৬)

মাগফিরাতের ১০ দিন শেষে শুরু হবে নাজাতের দশক। শেষ ১০ দিনের বিশেষ আমল ইতিকাফ। মাগফিরাতের দিনগুলো শেষ হওয়ার আগেই রোজাদাররা ইতিকাফের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

Tag :
এখন আলোচনায়

ভেড়ামারা বাসষ্ট্যান্ডে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বুলবুল হাসান পিপুল’র পথসভা অনুষ্ঠিত

মাগফিরাতের ১০ দিন শুরু

আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

রমজানের পুরো সময়কে আল্লাহ তায়ালা তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ১০ দিন নাজিল হয় রহমত, মাঝের ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাত। আজ থেকে শুরু হলো রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত বা ক্ষমার দশক।

হাদিসে হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষদিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৮৮৭)

গুনাহ বা পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এমন কাজে লিপ্ত হয়। অনেকেই শয়তানের কুপ্ররোচনায় গুনাহ করে ফেলেন এবং গুনাহ থেকে মাগফিরাত লাভের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। তাদের জন্য মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ আজ থেকে। আল্লাহ তায়ালা রমজানের দ্বিতীয় দশকে বান্দাকে বেশি বেশি ক্ষমা করেন।

আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। রমজানে মুসলিম বান্দারা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব। (সহিহ মুসলিম, হাদিস, ৬৪৬)

মাগফিরাতের ১০ দিন শেষে শুরু হবে নাজাতের দশক। শেষ ১০ দিনের বিশেষ আমল ইতিকাফ। মাগফিরাতের দিনগুলো শেষ হওয়ার আগেই রোজাদাররা ইতিকাফের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।