১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে গরীবের টিসিবির পণ্য জমিদারের ব্যাগেঃ অসহায় পরিবারের আহাজারি, শুনার যেন কেউ নেই।

 

পবিত্র রমজান মাসে পৃথিবীর আর সকল মুসলিম দেশে রোজাদারের জীবনমান ভাল রাখতে সকল প্রকার পণ্যের দাম কমিয়ে ব্যবসায়ীরা মানবিকতার পরিচয় দেন। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু আমাদের দেশে, রমজানকে সামনে রেখে চলে গুদামজাতের কাজ, আর সুযোগ বুঝে ইচ্ছে মত পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করায় যেন অসৎ ব্যবসায়ীদের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। আর এমন অসৎ ব্যবসায়ীদের থেকে গরীব অসহায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারী ভর্তুকির মাধ্যমে টিসিবির পণ্য চাউল, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল ও ছোলা সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধম্যে পূর্বের নিয়মে গত কাল রবিবার সারাদেশে বিতরণ শুরু হয়েছে। কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদামের মধ্যে পৌরসভার টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নানা ধরনের অনিয়ম আর দূর্নীতি। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় টিসিবির পণ্য নিতে এসে নানা ধরনের হয়রানির স্বীকার হয়ে এবং প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন অনেকে। বাস্তবে দেখা যায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, মিল-মালিক, সরকারী চাকরীজীবি, সমাজের লাখোপতি ও কাউন্সিলরের আত্মীয়স্বজনদের দখলে বেশির ভাগ কার্ড। কাউন্সিললের আত্মীয় হাওয়ার কারণে একই পরিবারে ৫ থেকে ৬টি কার্ড দেয়া হয়েছে এবং এক এক জন এসে বস্তা ভর্তি মাল সংগ্রহ করছেন। আর এমন অনিয়মের শীর্ষে আছেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি তার ব্যক্তিস্বার্থে এবং নিজ দলীয় ও আত্মীয়দের মাঝে সব কার্ড বিতরণ করেছেন। তার নিজ পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ড এর বহু গরীব, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ভ্যান- রিকসা চালক এবং অসহায় পরিবারে টিসিবির ১টি কার্ড ও দেয়া হয়নি। এ সময় সুবিধাবঞ্জিত ০৭নং ওয়ার্ডের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রিক্সা চালক মোঃ আজিম, সত্তোর উর্দ্ধো বয়স্ক রিক্সা চালক মোঃ আতিয়ার রহমান, রিক্সা চালক মোঃ আশাদুল, রিক্সা চালক মোঃ জাকির হোসেন, প্রতিবন্ধী মিরাজ হোসেন, রেল ষ্টেশনের কুলি বৃদ্ধ লাল মিয়া, বৃদ্ধ কুলি মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রতিবন্ধী কুলি ওহিদুল, ভ্যান চালক মোঃ আলতাফ, ৭০ বছর বয়সের ভ্যান চালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, রেল ষ্টেশনের চা বিক্রেতা বৃদ্ধ ফজলুর রহমান, প্রতিবন্ধী বকুল হোসেনসহ সমাজের অবহেলিত বয়ষ্ক, প্রতিবন্ধী ও গরীবদের মাঝে তিনি কোন কার্ড বিতরণ করেননি। টিএন্ডটি পাড়ার ৭৮ বছর বয়সের ভিক্ষুক জালাল উদ্দিন বলেন ১টি কার্ডের জন্য কাউন্সিলর খাইরুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন টিসিবির মাল তোলার টাকা তো তোমার নেই তোমার কার্ডের দরকারকি। তার এ রকম অর্পকর্মের সতত্য ফুটেউঠেছে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সাথে কথা বলে। অথচ টিসিবির কার্ড দিয়ে মাল সংগ্রহ করতে দেখা যায় কাউন্সিলর খাইরুলের আত্মীয় লাখোপতি ব্যবসায়ী আঃ বারেকের স্ত্রীকে, সরকারী কলেজের কর্মচারীর স্বামী মোঃ আশাদুল ইসলাম, টিন্ডটি অফিসের কর্মচারী মোঃ মন্টু, চাতাল মালিক মোঃ খোকনসহ আরো লাখোপতি কোটিপতিদের। ০৭ নং ওয়ার্ডের মোঃ লাল্টুকে দেখা যায় একাই ৫টি কার্ডের মালামাল সংগ্রহ করছেন, তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এতো মাল কার কার? তিনি জানান একটি আমার, আমার ছেলের, আমার স্ত্রীর, আমার ৩ বছরের নাতির, আমার মেয়েসহ মোট ৫ জনের। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনিও কাউন্সিলর খাইরুলের আত্মীয় এবং তার মার্কেটের ব্যবসায়ী তিনি বলে কথা। আরো ভুক্তভোগী ০২ নং ওয়ার্ডের ভ্যান চালক মোঃ রেজাউল, ভ্যান চালক মোঃ আঃ ওহাব, ০৩ নং ওয়ার্ডের ভ্যান চালক মোঃ খোকন, ভ্যান চালক মোঃ বাবুল, কুলি আবু সাইদসহ সলেমানপুর পালপাড়ার প্রতিবন্ধী পরিমল কুমার বিশ্বাসসহ সবাই অভিযোগ করেন তাদেরকেও কোন টিসিবির কার্ড প্রদান করা হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর ০৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ খাইরুল ইসলাম এর সাথে তিনি জানান আমি মোট ১৫০ টি কার্ড পেয়েছি। যারা আমার কাছে এসেছে তাদের দিছি, তার ভিতর হয়তো কিছু এদিক ওদিক হতে পারে। আমি অস্বীকার করছি না। ১৫০টি মাত্র কার্ড সবাইকে দেয়া তো সম্ভব হয়না। টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহেজুর রহমানের সাথে তিনি জানান টিসিবির পণ্য তার গুদামে রাখা বা বিতরণের কোন দ্বায়িত্ব তার নেই। উপজেলা কার্যালয়ে জায়গার সল্পতার কারণে আমাদের এখানে মাল রেখে বিতরণ করা হচ্ছে। কার্ড বিতরণে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তবে এর কোন দায়দায়িত্ব আমাদের নেই। এ বিষয়ে কথা বলা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসেন মে এর সাথে তিনি বলেন টিসিবির কার্ড বিতরণ করার দ্বায়িত্ব সরকার আমাদের দেয়নি, দিয়েছে জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সে কারণে আমাদের কিছু করার থাকেনা। তবে পণ্য বিতরণের বিষয়ে বিভিন্ন লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইত্যিমধ্যে আমি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি। আপনারাও অভিযোগ দেন আমি বিষয়টি যাচাই করে দেখবো। তিনি জানান কোটচাঁদপুর উপজেলাতে মোট ৯৯৫১ টি টিসিবির কার্ড প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২২৫১টি কোটচাঁদপুর পৌরসভা পেয়েছে। সকল কার্ড বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন চেরয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র, তাদের কাছেই নাম ভিত্তিক তালিকা আছে। টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় তদারকি করছিলেন পৌরসভার প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র তার কাজে অনিয়মের বিষয় যানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বিষয় মেয়রের সাথে কথা বলতে। কোচটাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ সহিদুজ্জামান সেলিম দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। টিসিবির পণ্য পাওয়া থেকে বঞ্জিত সকলেই এ সব অনিয়মের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে গরীবের হক গরীবদের ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এ দিকে কোটচাঁদপুর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেখা খাতুন একজন প্রতিবন্ধি নিজের পায়ে তিনি হাঁটতেও পারেন না তিনিও একটি টিসিবির কার্ড থেকে বঞ্চিত। এলাকার সবাই তাকে চিনলেও চোখে পড়ে নি অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধির।

Tag :
এখন আলোচনায়

চুয়াডাঙ্গায় আবারও অতি তীব্র তাপদাহ শুরু তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কোটচাঁদপুরে গরীবের টিসিবির পণ্য জমিদারের ব্যাগেঃ অসহায় পরিবারের আহাজারি, শুনার যেন কেউ নেই।

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

 

পবিত্র রমজান মাসে পৃথিবীর আর সকল মুসলিম দেশে রোজাদারের জীবনমান ভাল রাখতে সকল প্রকার পণ্যের দাম কমিয়ে ব্যবসায়ীরা মানবিকতার পরিচয় দেন। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু আমাদের দেশে, রমজানকে সামনে রেখে চলে গুদামজাতের কাজ, আর সুযোগ বুঝে ইচ্ছে মত পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করায় যেন অসৎ ব্যবসায়ীদের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। আর এমন অসৎ ব্যবসায়ীদের থেকে গরীব অসহায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারী ভর্তুকির মাধ্যমে টিসিবির পণ্য চাউল, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল ও ছোলা সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধম্যে পূর্বের নিয়মে গত কাল রবিবার সারাদেশে বিতরণ শুরু হয়েছে। কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদামের মধ্যে পৌরসভার টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নানা ধরনের অনিয়ম আর দূর্নীতি। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় টিসিবির পণ্য নিতে এসে নানা ধরনের হয়রানির স্বীকার হয়ে এবং প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন অনেকে। বাস্তবে দেখা যায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, মিল-মালিক, সরকারী চাকরীজীবি, সমাজের লাখোপতি ও কাউন্সিলরের আত্মীয়স্বজনদের দখলে বেশির ভাগ কার্ড। কাউন্সিললের আত্মীয় হাওয়ার কারণে একই পরিবারে ৫ থেকে ৬টি কার্ড দেয়া হয়েছে এবং এক এক জন এসে বস্তা ভর্তি মাল সংগ্রহ করছেন। আর এমন অনিয়মের শীর্ষে আছেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি তার ব্যক্তিস্বার্থে এবং নিজ দলীয় ও আত্মীয়দের মাঝে সব কার্ড বিতরণ করেছেন। তার নিজ পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ড এর বহু গরীব, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ভ্যান- রিকসা চালক এবং অসহায় পরিবারে টিসিবির ১টি কার্ড ও দেয়া হয়নি। এ সময় সুবিধাবঞ্জিত ০৭নং ওয়ার্ডের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রিক্সা চালক মোঃ আজিম, সত্তোর উর্দ্ধো বয়স্ক রিক্সা চালক মোঃ আতিয়ার রহমান, রিক্সা চালক মোঃ আশাদুল, রিক্সা চালক মোঃ জাকির হোসেন, প্রতিবন্ধী মিরাজ হোসেন, রেল ষ্টেশনের কুলি বৃদ্ধ লাল মিয়া, বৃদ্ধ কুলি মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রতিবন্ধী কুলি ওহিদুল, ভ্যান চালক মোঃ আলতাফ, ৭০ বছর বয়সের ভ্যান চালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, রেল ষ্টেশনের চা বিক্রেতা বৃদ্ধ ফজলুর রহমান, প্রতিবন্ধী বকুল হোসেনসহ সমাজের অবহেলিত বয়ষ্ক, প্রতিবন্ধী ও গরীবদের মাঝে তিনি কোন কার্ড বিতরণ করেননি। টিএন্ডটি পাড়ার ৭৮ বছর বয়সের ভিক্ষুক জালাল উদ্দিন বলেন ১টি কার্ডের জন্য কাউন্সিলর খাইরুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন টিসিবির মাল তোলার টাকা তো তোমার নেই তোমার কার্ডের দরকারকি। তার এ রকম অর্পকর্মের সতত্য ফুটেউঠেছে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সাথে কথা বলে। অথচ টিসিবির কার্ড দিয়ে মাল সংগ্রহ করতে দেখা যায় কাউন্সিলর খাইরুলের আত্মীয় লাখোপতি ব্যবসায়ী আঃ বারেকের স্ত্রীকে, সরকারী কলেজের কর্মচারীর স্বামী মোঃ আশাদুল ইসলাম, টিন্ডটি অফিসের কর্মচারী মোঃ মন্টু, চাতাল মালিক মোঃ খোকনসহ আরো লাখোপতি কোটিপতিদের। ০৭ নং ওয়ার্ডের মোঃ লাল্টুকে দেখা যায় একাই ৫টি কার্ডের মালামাল সংগ্রহ করছেন, তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এতো মাল কার কার? তিনি জানান একটি আমার, আমার ছেলের, আমার স্ত্রীর, আমার ৩ বছরের নাতির, আমার মেয়েসহ মোট ৫ জনের। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনিও কাউন্সিলর খাইরুলের আত্মীয় এবং তার মার্কেটের ব্যবসায়ী তিনি বলে কথা। আরো ভুক্তভোগী ০২ নং ওয়ার্ডের ভ্যান চালক মোঃ রেজাউল, ভ্যান চালক মোঃ আঃ ওহাব, ০৩ নং ওয়ার্ডের ভ্যান চালক মোঃ খোকন, ভ্যান চালক মোঃ বাবুল, কুলি আবু সাইদসহ সলেমানপুর পালপাড়ার প্রতিবন্ধী পরিমল কুমার বিশ্বাসসহ সবাই অভিযোগ করেন তাদেরকেও কোন টিসিবির কার্ড প্রদান করা হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর ০৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ খাইরুল ইসলাম এর সাথে তিনি জানান আমি মোট ১৫০ টি কার্ড পেয়েছি। যারা আমার কাছে এসেছে তাদের দিছি, তার ভিতর হয়তো কিছু এদিক ওদিক হতে পারে। আমি অস্বীকার করছি না। ১৫০টি মাত্র কার্ড সবাইকে দেয়া তো সম্ভব হয়না। টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহেজুর রহমানের সাথে তিনি জানান টিসিবির পণ্য তার গুদামে রাখা বা বিতরণের কোন দ্বায়িত্ব তার নেই। উপজেলা কার্যালয়ে জায়গার সল্পতার কারণে আমাদের এখানে মাল রেখে বিতরণ করা হচ্ছে। কার্ড বিতরণে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তবে এর কোন দায়দায়িত্ব আমাদের নেই। এ বিষয়ে কথা বলা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসেন মে এর সাথে তিনি বলেন টিসিবির কার্ড বিতরণ করার দ্বায়িত্ব সরকার আমাদের দেয়নি, দিয়েছে জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সে কারণে আমাদের কিছু করার থাকেনা। তবে পণ্য বিতরণের বিষয়ে বিভিন্ন লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইত্যিমধ্যে আমি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি। আপনারাও অভিযোগ দেন আমি বিষয়টি যাচাই করে দেখবো। তিনি জানান কোটচাঁদপুর উপজেলাতে মোট ৯৯৫১ টি টিসিবির কার্ড প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২২৫১টি কোটচাঁদপুর পৌরসভা পেয়েছে। সকল কার্ড বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন চেরয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র, তাদের কাছেই নাম ভিত্তিক তালিকা আছে। টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় তদারকি করছিলেন পৌরসভার প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র তার কাজে অনিয়মের বিষয় যানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বিষয় মেয়রের সাথে কথা বলতে। কোচটাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ সহিদুজ্জামান সেলিম দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। টিসিবির পণ্য পাওয়া থেকে বঞ্জিত সকলেই এ সব অনিয়মের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে গরীবের হক গরীবদের ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এ দিকে কোটচাঁদপুর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেখা খাতুন একজন প্রতিবন্ধি নিজের পায়ে তিনি হাঁটতেও পারেন না তিনিও একটি টিসিবির কার্ড থেকে বঞ্চিত। এলাকার সবাই তাকে চিনলেও চোখে পড়ে নি অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধির।