১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেড়ামারায় কদর বেড়েছে গোবরের লাকড়ির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬০ Time View

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গোবরের তৈরি লাকড়ি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জ্বালানি হিসেবে এর চাহিদা বাড়ায় শীতকালে এ লাকড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা। এতে করে নিজেদের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লাকড়ি বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন অনেক নারী।

জানা যায়, অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের শিশুসন্তানদের দিয়ে রাস্তার পাশ, মাঠ বা গবাদিপশুর বিচরণের স্থান থেকে গো-বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকেন। আবার অনেক নারী পার্শ্ববর্তী সচল পরিবারের গোয়ালঘর থেকেও গো-বর্জ্য সংগ্রহ করেন। পরে নারীরা অবসর সময় জ্বালানির জন্য লাকড়ি তৈরি করেন। গোবরের লাকড়ি তৈরি এমন এক প্রকার জ্বালানি যা তৈরি করা খুবই সহজ।

পরিবেশ সহায়ক এ জ্বালানি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন গরু বা মহিষের গোবর, পাটখড়ি, ধানের কুঁড়া। গোবরের লাকড়ি তৈরির আগে মাপ মতো পাটখড়ি কেটে গোবর, কুঁড়া একত্রে মিশিয়ে পাটখড়ির সঙ্গে মুঠো করে রোদে শুকাতে হয়।

উপজেলার ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের মর্জিনা জানান, তার স্বামী শ্রম দিয়ে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চলে না। ঘরের জ্বালানি চাহিদা মিটিয়ে গোবরের মশাল বিক্রি করে যে টাকা পান তিনি তা সংসারে খরচ করেন। গোবরের লাকড়ি ভালোভাবে শুকানোর পর ঘরের প্রয়োজন মিটিয়ে বাদবাকি বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীরা গ্রামে ঘুরে ঘুরে এসব লাকড়ি ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করেন।

তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় মাছের লিজ ঘেরেও গোবরের তৈরি লাকড়ি চাহিদা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত পাটখড়ির পাশাপাশি গোবরের তৈরি লাকড়ি দিয়ে নিজেদের জ্বালানি সমস্যা তো দূর হচ্ছে আবার তা বাজারে বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা বলেন, কিছুদিন আগে এর ব্যবহার ছিল গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সব শ্রেণির মানুষ এটি স্বল্পমূল্যে কিনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। দরিদ্র পরিবারের মহিলারা গোবরের শলা তৈরি করে নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে সংসারের খরচ চালিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

এই প্রতিবেদনটি ডেইলী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া, প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)।

Tag :
এখন আলোচনায়

ভেড়ামারা বাসষ্ট্যান্ডে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বুলবুল হাসান পিপুল’র পথসভা অনুষ্ঠিত

ভেড়ামারায় কদর বেড়েছে গোবরের লাকড়ির

আপডেট সময় : ০৬:১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গোবরের তৈরি লাকড়ি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জ্বালানি হিসেবে এর চাহিদা বাড়ায় শীতকালে এ লাকড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা। এতে করে নিজেদের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লাকড়ি বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন অনেক নারী।

জানা যায়, অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের শিশুসন্তানদের দিয়ে রাস্তার পাশ, মাঠ বা গবাদিপশুর বিচরণের স্থান থেকে গো-বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকেন। আবার অনেক নারী পার্শ্ববর্তী সচল পরিবারের গোয়ালঘর থেকেও গো-বর্জ্য সংগ্রহ করেন। পরে নারীরা অবসর সময় জ্বালানির জন্য লাকড়ি তৈরি করেন। গোবরের লাকড়ি তৈরি এমন এক প্রকার জ্বালানি যা তৈরি করা খুবই সহজ।

পরিবেশ সহায়ক এ জ্বালানি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন গরু বা মহিষের গোবর, পাটখড়ি, ধানের কুঁড়া। গোবরের লাকড়ি তৈরির আগে মাপ মতো পাটখড়ি কেটে গোবর, কুঁড়া একত্রে মিশিয়ে পাটখড়ির সঙ্গে মুঠো করে রোদে শুকাতে হয়।

উপজেলার ক্ষেমিরদিয়াড় গ্রামের মর্জিনা জানান, তার স্বামী শ্রম দিয়ে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চলে না। ঘরের জ্বালানি চাহিদা মিটিয়ে গোবরের মশাল বিক্রি করে যে টাকা পান তিনি তা সংসারে খরচ করেন। গোবরের লাকড়ি ভালোভাবে শুকানোর পর ঘরের প্রয়োজন মিটিয়ে বাদবাকি বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীরা গ্রামে ঘুরে ঘুরে এসব লাকড়ি ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করেন।

তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় মাছের লিজ ঘেরেও গোবরের তৈরি লাকড়ি চাহিদা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত পাটখড়ির পাশাপাশি গোবরের তৈরি লাকড়ি দিয়ে নিজেদের জ্বালানি সমস্যা তো দূর হচ্ছে আবার তা বাজারে বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা বলেন, কিছুদিন আগে এর ব্যবহার ছিল গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সব শ্রেণির মানুষ এটি স্বল্পমূল্যে কিনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। দরিদ্র পরিবারের মহিলারা গোবরের শলা তৈরি করে নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে সংসারের খরচ চালিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

এই প্রতিবেদনটি ডেইলী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া, প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)।