মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট

বাগেরহাটে আদালতের আদেশ অমান্য করে মসজিদের ইমামের জায়গা জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জব্বার শাহিনীর বিরুদ্ধে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা জমি কাগজ যার জমি তার কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনাকে নর্সাৎ করার জন্য ভূমিদসুত্যা শুরু করেছে বাগেরহাট জেলার সদর থানার রাখালগাছি ইউনিয়নের সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আদম মোড়লের ছেলে রাজ্জাক মোড়ল গং। উল্লেখ্য একই এলাকার মৃতঃআলী আকবর মোল্লা ছেলে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করছে রাজ্জাক গং ইতোমধ্যে জোর পূর্বক দখলে কার্যক্রম শুরু করেন সুন্দরবনের বনদস্যু রাজ্জাক মোড়ল,ও তার দুই ভাই।

কথিত আছে কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না ঠিক সেরকম সুন্দরবনের বনদস্যু রতন বাহিনীর কমান্ডার রাজ্জাক মোড়ল ছিল, চ্যালেন্ডার করে ১৪ বছর জেল খেটা বনদস্যু কিন্তু এখন সে হয়েছে ভুমীদস্যু

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আলী আকবর মোল্লা বলেন, আমি একজন “সুবর্ণকার্ড”প্রাপ্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী তার স্ত্রী সন্তানদেরকে নিয়ে অত্যন্ত দারিদ্রতার ও সততার মাঝে জীবন-যাপন করছে এ সুযোগে বনদস্যু রাজ্জাক জাল দলিল করে আমার পৈতৃক ভিটা সম্পত্তিতে ১৪৪ ধরা জারি করেছে,এখন আবার ভোগ দখলের করার চেষ্টা করছে, চেয়ারম্যান মেম্বার কে জানালে তারা আমারে পক্ষে রায় দেয় কিন্তু বনদশ্যু রাজ্জাজ তাতে কোন কনর্পাত করে না। এ ছাড়াও এই বনদস্যু রাজ্জাক গং প্রাতিনিয়ত আমাকে জীবন নাসের হুমকি দিচ্ছে আমি যেন পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা তারা আমাদের হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ছাড়বে, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি আমি এক জন শারীরিক ভাবে অক্ষর এমতাবস্থায় আমি যে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের জায়গায় সুষ্ঠভাবে বসবসয় করতে পারি তার জন্য আপনার সদর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, একসময়ের সুন্দরবনের বনদস্যু রতন বাহিনীর কমান্ডার ছিল তিনি, চ্যালেন্ডার করে ১৪ বছর জেল খেটেছে বনদস্যু রাজ্জাক মোড়ল, তাবে কোন প্রকার বৈধ ব্যবসা, চাকিরি, কাজ না করে অল্প দিনে অগাধ টাকা পয়সা বাড়ি-গাড়ির মালিক হলেন কি ভাবে…?? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে,শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এ দিকে বনদস্যু রাজ্জাক মোড়ল তার নিজের ঘরে আগুন দিয়ে জেল খাটানোর ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতিবেশি আলা বক্স এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে পরবর্তিতে বনদস্যু রাজ্জাক মোড়লের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কর্তৃক ষড়যন্ত্রটি ফাঁস হয়ে যায়। প্রতিবেশি অসহায় এলাকার আব্দুল হাই ফারাজির জমি একই রকম ভাবে জোরপূর্বক করে দখলে চেষ্টা করে,সে নিরুপায় হয়ে লক্ষাধিক টাকা দিতে বাধ্য হয়, আব্দুল হাই ফরাজী এখনো তার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে জীবন যাপন করছে।

এ ব্যাপারে এলাকায় ইউপি সদস্য বলেন আমি বিষয়টি জানি এবং কয়েলবার বসাবসি করেছি রাজ্জাক কে তার ঘর সরিয়ে নিতে বললেও সে আমাদের কথা অনমাননা করে।অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাট মডেল থানার এস আই এসে রাতের ভিতরে ঘর অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় নর্দেশনা প্রদান করে।

এলাকাবাসীর দাবী সুন্দরবনের আত্বসমর্পনকৃত ডাকাত আব্দুর রাজ্জাক গং কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক তাহলে একদিকে যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনা বাস্তবায়ন হবে অন্য দিকে দেশ ভুমিদস্যুমুক্ত এমনটাই প্রত্যাশা একালার সচেতন মহলের।