সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
বন্যার কারণে স্থগিত করা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী আগস্টে শুরু হবে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে অক্টোবরে। গতকাল রবিবার রাতে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সিলেটে যে বন্যা পরিস্থিতি তাতে জুলাইয়ে এসএসসি শুরু করা যাবে না। আগষ্টে শুরু হবে। এসএসসির দুই মাস পর এইচএসসি শুরু করা হবে। সেই হিসেবে এইচএসসি পিছিয়ে অক্টোবরে নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, সিলেটসহ সারা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে এসএসসি গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেই পরীক্ষা-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর জানায়, দেশের ১৮ জেলার ৮৬ উপজেলার ১ হাজার ৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় কবলিত। বন্যায় কবলিত ১৮ জেলার ৮৬ উপজেলার ৯১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান সম্ভব নয়।
আংশিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর বন্যায় কবলিত এলাকার ৫৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার জুলাই মাসে সম্ভব নয়।
গত ২১ জুন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ নির্ভর করছে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর। বন্যা পরিস্থিতি বুঝে স্থগিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রুটিন প্রকাশ করবো। সিলেট থেকে পানি নামা শুরু করলেও নতুন নতুন জেলা প্লাবিত হচ্ছে। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছি না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন অংশগ্রহণ করবে। এবার দেশের ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
চলতি বছর ঢাকা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৮ জন। এছাড়া রাজশাহীতে এক লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন, কুমিল্লায় এক লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন, যশোরে এক লাখ ৭০ হাজর ৩৭৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৪৯ ৭১০ জন, বরিশালে ৯৫ হাজার ৯৭৬ জন, সিলেটে এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৬১ জন এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ১২ হাজার ৯৪৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। সব মিলে নয় বোর্ডের অধীনে মোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন অংশগ্রহণ করবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নয় হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। মোট ৭১৫টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন অংশ নেবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট দুই হাজার ৮১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। দেশের ৮২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
দেশের বাইরে আটটি দেশে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৭০ জন, রিয়াদে ৪৮ জন, ত্রিপলিতে চারজন, দোহাতে ৬৮ জন, আবুধাবিতে ৫৯ জন, দুবাইয়ে ৩১ জন, বাহরাইনে ৫৩ জন এবং ওমানে ৩৪ জনসহ মোট ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।