বুধবার, ০৬ Jul ২০২২, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুতের দাম ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি টিম।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।
শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) প্রস্তাবিত ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিউবো। অন্যদিকে, এ প্রস্তাবের বিপরীতে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে কারিগরি টিম।
বিইআরসি সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিটপ্রতি ৫ দশমিক ১৭ টাকা নির্ধারণ করে।
বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি ও বেসরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে।
পাঁচটি বিতরণ কোম্পানির কাছে তারা পাইকারি দরে বিক্রিও করে আসছে। আর নিজেরা ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের শহরাঞ্চলে বিতরণ করে যাচ্ছে।
বিপিডিবির পাইকারি দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২ দশমিক ১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৬ টাকায়।
জ্বালানি তেলের দাম ও কয়লার মূসক বাড়ার কারণে ২০২২ সালে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪ দশমিক ২৪ টাকায়। পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বিপিডিবির।