সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
আহসান আলম:
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞানপার্টির দৌড়াত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না বাস ও ট্রেনের যাত্রী থেকে শুরু করে সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক চালকেরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রশাসনিকভাবে তৎপর হলেও একেক সময় ধরণ পাল্টাচ্ছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অজ্ঞানপার্টির ওই সিন্ডিকেটের কবল থেকে রেহাই পাই নি ইজিবাইক চালক মাছাদ উদ্দিন। সোমবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় তাকে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার নিজের ব্যবহৃত ইজিবাইকটি খোয়া যায়। ইজিবাইক চালক মাছাদ উদ্দিন (২২) চুয়াডাঙ্গা শহরতালীর দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অচেতন মাছাদ উদ্দিনের শয্যাপাশে থাকা তার বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৮ টার দিকে নিজের ইজিবাইক নিয়ে বের হয় মাছাদ উদ্দিন। বেলা ৩ টার দিকে রাজিব নামের আরেক ইজিবাইক চালক অচেতন অবস্থায় তাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। আমরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তিনি আরও বলেন, মাছাদের ইজিবাইকটি পাওয়া যায় নি এবং তার কাছে থাকা একটি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা খোঁয়া গেছে।
ইজিবাইক চালক রাজিব বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ডিঙ্গেদহ থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের অদুরে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের নিকট পৌছায়। এ সময় সড়কের ধারের ঝোপঝাড়ের মধ্যে মাছাদকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, চেতনানাশক কিছু খাইয়ে তাকে অচেতন করা হয়েছে। আমরা তাকে ওয়াশ করে পাকস্থলি পরিস্কার করেছি এবং পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মহসীন পিপিএম (বার) জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই চক্রটিকে ধরতে আমাদের একটি টিম অভিযান শুরু করেছে।