শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা সিনেমার এক সময়ের ব্যস্ত চিত্রনায়ক শাহীন আলম। সোমবার (৮ মার্চ) রাত ১০টা ৫ মিনিটে মারা যান তিনি।
গত শনিবার (৬ মার্চ) থেকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এ অভিনেতা।
শাহীন আলমের মৃত্যুর খবর সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এর আগে সন্ধ্যা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছিলেন জায়েদ খান।
এর আগে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে ওমর সানী লেখেন, শাহীন আলম আমার বন্ধু। একসাথে পথচলা, অভিনয়ে ও অসাধারণ। দীর্ঘসময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছে না। কিছুদিন আগে কিডনিজনিত সমস্যায় ওকে দেখতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম ওর কিডনি দুটিই বিকল, ডায়ালাইসিস করছে বেশ কিছুদিন যাবত। গতকাল (৭ মার্চ) ওর ছেলে ফোন দিয়েছিল। শুধু বলল, আঙ্কেল বাবা লাইফ সাপোর্টে, করোনা পজিটিভ। আল্লাহ তুমি সুস্থতা দান করো, বন্ধুকে ফিরিয়ে দাও।
শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম জানান, আগে থেকেই তার বাবার কিডনি জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা ছিল। ডায়ালাইসিস চলাকালে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তারপর দ্রুত তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ঢাকায় বেড়ে ওঠা শাহীন আলম শুরুতে মঞ্চে অভিনয় করতেন। ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে শাহীন অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ সিনেমাটি মুক্তির পর নজরে আসেন তিনি। একসঙ্গে সাতটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন শাহীন। এরপর দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
শাহীন আলম অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আরিফ লায়লা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি অন্যতম।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.