মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ তুলেছেন আলমডাঙ্গর রামনগর গ্রামের ভুক্তভোগী এক যুবক।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে রাহুল মিয়া (২৩) সাথে প্রায় ৪ বছর আগে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মোঃ আকবার আলী মেয়ে খুশি খাতুনের বিবাহ হয়। ২ বছরের মধ্যে তাদের ঘর আলো করে জন্মনেয় এক ফুটফুটে শিশু পুত্র, আদর করে বাবা-মা নাম রাখেন রাহুল। বর্তমানে রুহুল- খুশির একমাত্র ছেলে রাহুলের বয়স প্রায় ২ বছর। তাদের অভাবের সংসারে মাঝে মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো, প্রায় ১ বছর আগে খুশি খাতুন স্বামী মোঃ রুহুলের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে একমাত্র ছেলে রাহুলকে নিয়ে কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়ায় পিতার বাড়ি চলে আসেন। রুহুল স্ত্রী- পুত্রকে ফেরত আনতে একাধিকবার শ্বশুর বাড়ি সহ তার শ্বশুর কুলের কাছে ধর্ণা দিয়েও ফেরত পেতে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে রুহুল স্ত্রী- পুত্রকে ফেরৎ পেতে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। দীর্ঘ ৮/৯ মাস ধরে গ্রাম আদালতে ধর্ণা দিতে থাকেন রুহুল। এরই মাঝে রুহুলের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের স্বঘোষিত ক্যাশিয়ার ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত পিএস নামে খ্যাত মোঃ আহসান হাবিব ঝন্টুর সাথে।
দিন ১৫ আগে রুহুল ইউপি ক্যাশিয়ার ঝন্টুর কাছে বলেন- ভাই আপনারা যে কোন ভাবে আমার স্ত্রী- পুত্রকে আমার কাছে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তখন ক্যাশিয়ার ঝন্টু বলেন তোমার বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। কিছু টাকা খরচ করলে তোমার বউ- ছেলেকে ফেরত পেয়ে যাবে। রাহুল বলেন কতো টাকা খরচ হবে। উত্তরে ঝন্টু বলেন ১৫/২০ হাজার টাকার মতো। রাহুল রাজী হয়ে পরবর্তী দিনে আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নর এক যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনকে সাথে নিয়ে রুহুল নগদ ১০০০০/ (দশ হাজার টাকা) কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের স্বঘোষিত ক্যাশিয়ার ঝন্টুর হাতে তুলে দেন।
রুহুল বলেন- চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কি দেখা করতে হবে। উত্তরে ঝন্টু বলেন আমি যা করবো চেয়ারম্যান সেটাই মেনে নিতে বাধ্য হবেন, এই কাউন্সিলে আমার কথায় শেষ কথা। কিন্তু ঝন্টু টাকা নিয়েও ফেরত দিতে পারেনি রুহুলের স্ত্রী- পুত্রকে। ভুক্তভোগী রুহুল এখন সঠিক বিচারের আশায় ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
এব্যাপারে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ এনামুল করীম ইনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কে এই ঝন্টু? কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়ার মৃতঃ মল্লিক হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব ঝন্টু (৩৫)।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.