সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
মোস্তফা কামাল শ্রাবন, চীফ রিপোর্টারঃ
কেরুজ চিনিকল সমূহের একমাত্র শিক্ষিত ডিপার্টপেন্ট কোনটি? সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে সিডিএ/ সিআইসি। যেখানে ইন্টারমিডিয়েট থেকে মাস্টার্সের ছেলে- মেয়ে আছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন নেই। যদি যেতে হয় তবে ইক্ষু বিভাগের কর্মকর্তা হওয়ার পথটিই শুধু খোলা আছে। বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের এক আদেশ বলে তারা অন্য কোন বিভাগে বদলী হতে পারবে না। বেশ কয়েক বছর আগে এমনই একটা সার্কুলার তাদের ভাগ্যটাকে পরিবর্তনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অথচ যোগ্যতার মাপকাঠিতে তারা যে কোন স্থানে বদলী হয়ে বদলীকৃত স্থানে সুনামের সাথে কাজ করার যোগ্য। আর ইক্ষু বিভাগের কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ তো খুব সামান্য সংখ্যকের ভাগ্যে জোটে। ফলে একজন সিডিএ বা সিআইসির জীবনটা একই পদে কাটাতে হয়। অন্য কোন চাকুরীতে এমন বাঁধা ধরা নিয়ম আছে কিনা জানা নেই।
কেরু চিনিকলের ডিষ্ট্রিলারী বিভাগের পন্যাগার এজেন্ট যারা হয় বা হচ্ছে তাদের যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে ইন্টার পাশ আর তাকে দিয়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কাজ করানো হয়। কেউবা এস এস সি পাশও আছে। কেরু চিনিকলের কর্মকর্তা মর্যাদার একজনকে কেন পণ্যাগারের দায়িত্ব দেয়া হয়না? অথবা যারা দায়িত্বে আছে তাদের জুনিয়র কর্মকর্তা করতে সমস্যা কোথায়? আগের লেখায় আমি বলেছিলাম এজেন্ট পদ পাওয়া মানে সোনার হরিণ হাতে পাওয়া। একবার যদি কেউ এই পদে যেতে পারে তাহলে তার কোটিপতি হতে খুব একটা সময়ের প্রয়োজন হয় না। আর সেজন্য এই পদে যাওয়ার আকাংখা অনেকেরই থাকে। সে আকাংখা পুরণ করতে হলে মোটা অংকের টাকার অনুদান তুলে দিতে হয় একটি বিশেষ মহলকে।
কয়েকদিন আগে ২ জন সহকারী এজেন্ট পদে পদায়ন হলো। তাদের একজন ইক্ষু অফিসের পিয়ন। উন্মুক্ত থেকে ইন্টার পাস। আর তাকে দিয়ে কোটি টাকার লেনদেন করানো হবে। মাস্টার্স পাশ করা সিডিএ কিংবা সিআইসি ছিলনা? প্রায় বছর খানেক আগে সিডিএ থেকে কয়েকজনকে এজেন্ট করা হয়েছিল। আর এজন্য বিশেষ মহল কিংবা ব্যক্তির হাতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছিল। স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিল কোটিপতি হওয়ার। কয়েক মাস যেতে না যেতেই কর্পোরেশনের নিষেধাজ্ঞা বলে আবার ফিরে আসতে হয়েছে তাদের। সেই প্রদেয় টাকা ফেরত পেয়েছে কি না জানিনা। তাদের স্বপ্ন তিমিরেই রয়ে গেল।
ডিষ্ট্রিলারীর উৎপাদিত সি,এস ( কান্ট্রি স্প্রীট) যদি ডিস্ট্রিলারী থেকেই ডায়লেশন করে কন্টিনার বা বোতলজাত করে পণ্যাগারে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দুর্ণীতি কমে আসবে। কেউ আর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এজেন্ট হতে চাইবে না। সেই সাথে কেরু ডিস্ট্রিলারীর সি,এস এ্যলকোহলের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.