শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টার :
চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়ার কেরুর মাঠ থেকে রক্তমাখা ও বিবস্ত্র এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া-বড়সলুয়া ঢমপুলের ধারে কেরুর মাঠের রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার সকালে বিবস্ত্র অবস্থায় কিশোরের রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় পথচারিরা। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাখা হয় সদর হাসপাতালের ফ্রীজে। লাশ উদ্ধারের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের ছবি পোষ্ট করা হয়। দিনভর অপেক্ষার পর সন্ধায় লাশের পরিচয় মেলে। রাাতেই মৃতদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরেন দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া-বড়সলুয়া রাস্তার পাশেই ঢমপুল মাঠ। ওই মাঠের রাস্তার পাশেই আখক্ষেত। তার পাশেই খোলা জমিতে এক কিশোরের বিবস্ত্র ও রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর থানা পুলিশ সেখানে যায়। ১২-১৩ বছর বয়সী কিশোরের গলায় কাপড় জড়ানো অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া তার পরনের বস্ত্রটি খুলে পা পর্যন্ত নামানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ওই বালককে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে কেন এই বালককে হত্যা করা হয়েছে তার কিছুই বলতে পারছেন না পুলিশ।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ‘এক কিশোরের লাশ পড়ে আছে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আমি সেখানে যাই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরের গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তার পরনে লাল রঙের ট্রাউজার ও গায়ে সাদা স্কুলড্রেসের মতো শার্ট ছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান আরও জানান, লাশ উদ্ধারের পরপরই বিভিন্ন সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের ছবিসহ পোস্ট করা হয়। সন্ধায় লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। তার নাম নয়ন। সে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার নৃশিংহপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার মিঠু সাহার ছেলে। নয়ন পেশায় পাখিভ্যান চালক। শুক্রবার সকালে জীবিকার তাগিদে নয়ন তার পাখিভ্যান নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে বাড়ী না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। পারদিনও তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ প্রায়। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়নের লাশের ছবি দেখে তারা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় যোগাযোগ করেন। পুলিশ বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নয়নের লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছিলো।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.