বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)থেকে, তানজীর ফয়সাল:
দামুড়হুদায় শীতের আগমনে ভাপা পিঠার ধুম লেগেছে। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনে প্রকৃতিতে এখন আর ঋতু মাসের হিসাব অনেকটায় বৈচিত্র্য হারিয়ে ফেলেছেন। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাসে বাংলাদেশ শীত ঋতুর আগমন ঘটার কথা। কিন্তুু বর্তমানে আমাদের দেশের ঋতুর বৈচিত্র্য অসমতা বিরাজ করছে। প্রকৃতির আগমনের বার্তার অনুভূত হচ্ছে শীতল ঠান্ডা ভাব ভোরের মিষ্টি আলোয় ফসল ও ঘাসের উপর ছড়ানো শিশিরের কোটি কোটি শিশির বিন্দু মুক্ত দানার মতো চিকমিক করেন। দেশে বাংলার প্রকৃতিতে শুধু শীতের আমেজ নয়, এর সঙ্গে নবান্নের আমেজও যোগ হয়েছে ঘরে ঘরে।
দামুড়হুদায় শীতের আবহাওয়া বইতে শুরু করেছে। আবহমান কাল থেকে বাংলার গ্রামীণ জনপদের মাঝে শীত হাজির হয় নানান বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে । শীত আসলেই শহর ও গ্রাম নতুন আঙ্গিকে সজ্জিত হয় অভিন্ন সাজে।জেলা শহর ও উপজেলার গ্রামে শীতের ফলে খাবারেও আসে নতুত্ব। শীত তেমন না আসলেও শুরু হয়েছে শীতের পিঠা খাওয়া ও বেচাকেনা ধুম। শীত আসলে চারিদিকে যেন পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
আর এই শীতের শুরুতে যদি হয় শীতের ভাপা পিঠা (ধুপি পিঠা) খাওয়ার তাহলে তো আর কথায় থাকে না। শীত শীত ভাব আসার সাথে সাথেই উপজেলার ওলিতে গলিতে শুরু হয়েছে শীতের ভাপা পিঠা বিক্রয়। এই ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে ছোট বড় সকলেই ভীড় জমিয়ে পিঠা কিনছেন ঘোর সকাল ও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত। এ পিঠা তৈরির কাঁচামালও থাকে হাতের নাগালে। পিঠা তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে চালের গুঁড়া, পানি, লবণ ও খেজুরের গুড় বা পাটালি । আরো স্বাদ আনতে নারিকেল কোরা, ঘন দুধ পরিমাণ মতো, সন্দেশ দিয়েও ভাপা পিঠা তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে ।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে এ মুখরোচক ভাপা পিঠা বিক্রয় কারী উপজেলা সদরের কেশবপুর গ্রামের সান্টু দৈনিক পশ্চিমঞ্চলকে জানান- আমি প্রায় ২০/২৫ দিন আগে থেকে বাসস্ট্যান্ডে ধুপি পিঠা বিক্রি করছি। কিন্তুু এবার জিনিসের দাম খুব বেশী যেমন ধরেন গতবছর চালের দাম ছিলো ৩০ এবার ৫০ টাকা, গুড় বা পাঠালির দাম ছিলো ৮০/১০০ এবার ১০০/১৪০ টাকা, নারিকেলের দাম ছিলো ২৫/ ৩০ এবার বড় নারিকেল ৫০ টাকা। দাম বেশী হওয়ার ফলে আমরা ১ টি পিঠা বিক্রি করছি ১০ টাকায়। তিনি আরও জানান- আমার স্ত্রী বাড়ীতে সব যোগাড় যন্ত্র করে দেন আমি দুপুরের পর পরই বসে পড়ি। সন্ধ্যায় আগে থেকে বেচাবিক্রি শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। যোগাড়ের সবটুকু পিঠাই শেষ হয়ে যায়। প্রতিদিন প্রায় ১৫০/২০০ পিঠা বিক্রি করি বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো, ধুপি পিঠা বিক্রি করে আমার প্রতিদিন ৪০০/৫০০ টাকা হাজিরা হয় এতে আমি খুশি। দিন যাবার যাবার সাথে সাথে পিঠা খেতে আসা মানুষের চাহিদা বাড়ছে আমি একা মানুষ তৈরি করে পেরে উঠছি না। শীতের এ পিঠা খেতে আসা যুবক রোকন, বাবলু দাস সহ ক’ একজন বলেন, শীতের ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় না যে শীত এসেছে। তেমন একটা শীত না পড়লেও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধুপি পিঠা (ভাপা পিঠা) বিক্রি হচ্ছে এবং সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ভাপা পিঠা কিনতে হচ্ছে । দাঁড়িয়ে থেকে ভাপা পিঠা কিনে খাওয়ার মাঝে একটা অন্যরকম আনন্দ বা মজা পাওয়া যাই। পিঠায় চালের আটার সাথে দেওয়া হচ্ছে নারিকেল, গুরের পাটালি যা ক্ষেতে খুবই সু- সাধু।ভাপা পিঠা বাড়িতে বানাতে একটু কষ্টকর ও ঝামেলা মনে হয় এজন্য বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া হয় না। এখানে ১ টি পিঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে তাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.