শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুরের কাওমী মাদ্রাসার পিছনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীর থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। কঙ্কালের পাশে মহিলাদের ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরনের কাপড় চোপড় পড়ে থাকায় পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করছে এটি অজ্ঞাত কোন মহিলার কঙ্কাল।
স্থানীয়রা জানায়, বিকালে জনৈক ব্যক্তি নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের হাড় গোড় দেখতে পায়। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথার খুঁলি ও হাড় গোড় দেখে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড় গোড় উদ্ধারসহ জব্দ তালিকা করে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিম খাতুন একই এলাকার একটি ছেলের সাথে তিন মাস আগে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে নিখোঁজ হয় । হতে পারে এটি কলেজ ছাত্রী মীম’র কঙ্কাল। তবে,- আজ রোববার আলমডাঙ্গার হারদী এলাকার মিম খাতুনের নিকটতম আত্মীয়রা দামুড়হুদা মডেল থানায় এসে উদ্ধারকৃত ভ্যানেটি ব্যাগসহ পরনের কাপড় চোপর দেখে কঙ্কালটি শনাক্ত করবেন। মিমের আত্মীয়স্বজনরা ভ্যানেটি ব্যাগ ও পরনের কাপড় চোপড় শনাক্ত করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি মিম না অন্য কোন নারীর কঙ্কাল।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নদীর কিনারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা কঙ্কালের হাড় মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কঙ্কালের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডি.এন.এ টেষ্ট করাতে ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া এই হত্যার সাথে জড়িতদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেটাকে সামনে রেখে পুলিশ হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে। তবে কঙ্কালের পরিচয় সম্পর্কে ওসি কোন মন্তব্য করেন নি।
লাশের আলামত দেখে ও মিমের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত কঙ্কাল মিমের হতে পারে। কঙ্কালটির ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
© All rights reserved © 2020 DailyAmaderChuadanga.com
www.